রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয় বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয় রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয় সম্পর্কে আপনারা সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না আজকে আমার এই আর্টিকেলে রাত জাগলে কি কি সমস্যা হয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অতিরিক্ত রাত জাগলে কি হয় রাত জাগলে কি গ্যাস হয় এছাড়াও আমার এই আর্টিকেলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস থাকবে টিপস গুলো জানতে হলে আমার এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই রাত জেগে কাজ করে থাকি রাত জেগে কাজ করার জন্য আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয় এবং সে থেকে আমাদের আয়ু কমে যায় শরীরের ক্যান্সারের মত রোগ বাসা বাঁধে। এবং রাত জাগার কারণে ওজন বেড়ে যায় হতাশা বেড়ে যায় হার্টের সমস্যা হয় এজন্য আমাদের রাত না জাগায় উচিত। রাত জাগার কারণে দিনদিন মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে চলছে। রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয় জানতে হলে আমার এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অতিরিক্ত রাত জাগলে কি হয়
অতিরিক্ত রাত জাগার জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা অনেক সময় কাজের কারণে রাত জেগে অনেক সময় রাত জাগে এই রাত জাগার নিয়মিত অভ্যাস করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। রাত জাগার অভ্যাসের কারণে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাধি দেখা দেয় এবং আমাদের আয়ু কমিয়ে ফেলে। চলুন জেনে নেই অতিরিক্ত রাত জাগলে কি হয়-
- মানুষ কোন নিশাচর প্রাণী নয় সকাল দুপুর রাত প্রতি সময়ে শুধু কাজ করবে।যারা ভোর পাঁচটায় ঘুমান সম্ভবত সকাল সময়মতো উঠতে পারেন না আর উঠলেও সারাদিনের মস্তিষ্ক ওর শরীরের ছন্দ হারিয়ে যায় এ থেকে সারা দিনের মানসিক বিষাদ ভর করে প্রাকৃতিক নিয়মে দেহের ঘড়ির ছন্দ বজায় রাখতে প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুমানো অতি তাড়াতাড়ি উঠলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এ থেকে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।
- হার্টের সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে অনিয়মিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হাড়ের ক্ষমতা কমে যায় এবং এ কারণে হাড়ের আশঙ্কা বেড়ে যায় হাই প্রেসারের পাশাপাশি হার্টবিট হার্ট রেট বেড়ে যায়।
- টানা কয়েকদিন জেগে থাকলে এবং পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক পতন হয় যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।
- রাত জাগার সঙ্গে হরমোনের সম্পর্ক রয়েছে রাত জাগলে স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধি পায় যার কারণে ত্বকের কোলাজেন নষ্ট হয়ে যায় স্কিন কেয়ার এর শর্ত অল্প বয়সে চেহারায় চোখের নিচে কালি ইত্যাদি দেখা দেয়।
- না ঘুমানোর কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায় রাত জেগে থাকলে আমাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়। এবং ক্ষুধা নিবারণ করতে এগিয়ে আমাদের ওজন বেড়ে যায় এবং সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও বেড়ে যায় এই কারণেও হার্টের ক্ষতি হতে পারে।
- রাত জাগার কারণে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং ব্রেইন কার্যক্রমে থাকে এ থেকেই এনজাইটিং ও ডিপ্রেশনের উৎপত্তি হয়। রাত জাগার কারণে অনেক মানুষ ব্রেনের সমস্যা হয় এ থেকে আত্মহত্যার মতো মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই।
- গবেষণা করে দেখা গেছে যে যারা ৫ ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমায় তাদের হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায় স্বাস্থ্যের যোগাযোগ রয়েছে না হলে শরীরের সবথেকে দুইটি দুর্বল হয়ে যায় আর এ থেকেই স্বাভাবিকভাবেই আয়ু কমে যায়।
রাত জাগলে কি গ্যাস হয়
রাত জাগে কাজ করলে গ্যাসের সমস্যা অনেক বেশি দেখা দেয়। রাত জাগলে খাবার হজম হতে চায় না এ কারণে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় যারা বেশি রাত জেগে কাজ করে তাদের এই গ্যাসের সমস্যা অনেক বেশি দেখা দেয়। রাত জাগার কারণে খাওয়ার রুচিও কমে যায়। এতে করে আমাদের শরীরের সমস্যা দেখা দেয় এইজন্য রাত জাগার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়
রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয় ? বর্তমান আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোন ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন চালানোর কারণে আমাদের চোখের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। অভ্যাসের সঙ্গে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য জড়িত থাকে। আমরা অনেকেই ঘরের আলো বন্ধ করে দিয়ে অন্ধকারে মোবাইল ব্যবহার করে থাকে এতে করে ঘুম হয় না ও বিভিন্ন ধরনের বিপদ দেখা দেয়।
- রাতে ঘুম কমে যায় এবং ঠিকমতো না ঘুমানোর কারণে স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
- চোখে অনেক চাপ পড়ে যার কারণে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকে।
- ফোনের দিকে দীর্ঘ সময়তাকিয়ে থাকলে মস্তিষ্কে চাপ বাড়ে এতে করে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
- বেশি স্মার্ট ফোন চালালে ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণকারী ঘটে ফলে শরীরের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- বেশি রাত জাগার কারণে স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
- অতিরিক্ত মোবাইল চালানোর কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে এমনকি চোখ খোলা দেখায় দূরের জিনিস দেখতে সমস্যা এবং চোখে রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- অতিরিক্ত মোবাইল চালানোর কারণে মাথা ঘাড় ও কাধে ব্যথা অনুভব হয়।
রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয়
রাত জাগার জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আমরা অনেক সময় কাজের কারণে রাত জেগে অনেক সময় রাত জাগে এই রাত জাগার নিয়মিত অভ্যাস করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। রাত জাগার অভ্যাসের কারণে শরীরে নানা ধরনের রোগ বাধি দেখা দেয় এবং আমাদের আয়ু কমিয়ে ফেলে। চলুন জেনে নেই রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয়-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়: মানুষ কোন নিশাচর প্রাণী নয় সকাল দুপুর রাত প্রতি সময়ে শুধু কাজ করবে। যারা ভোর পাঁচটায় ঘুমান সম্ভবত সকাল সময়মতো উঠতে পারেন না আর উঠলেও সারাদিনের মস্তিষ্ক ওর শরীরের ছন্দ হারিয়ে যায় এ থেকে সারা দিনের মানসিক বিষাদ ভর করে প্রাকৃতিক নিয়মে দেহের ঘড়ির ছন্দ বজায় রাখতে প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুমানো অতি তাড়াতাড়ি উঠলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এ থেকে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।
হার্টের সমস্যা হয়: হার্টের সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে অনিয়মিত না ঘুমালে ধীরে ধীরে হাড়ের ক্ষমতা কমে যায় এবং এ কারণে হাড়ের আশঙ্কা বেড়ে যায় হাই প্রেসারের পাশাপাশি হার্টবিট হার্ট রেট বেড়ে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ: টানা কয়েকদিন জেগে থাকলে এবং পরিমিত না ঘুমালে শরীরের স্বাভাবিক পতন হয় যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।
ত্বকের সমস্যা হয়: রাত জাগার সঙ্গে হরমোনের সম্পর্ক রয়েছে রাত জাগলে স্ট্রেস হরমোন বৃদ্ধি পায় যার কারণে ত্বকের কোলাজেন নষ্ট হয়ে যায় স্কিন কেয়ার এর শর্ত অল্প বয়সে চেহারায় চোখের নিচে কালি ইত্যাদি দেখা দেয়।
ওজন বেড়ে যায়: না ঘুমানোর কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে যায় রাত জেগে থাকলে আমাদের ক্ষুধা বেড়ে যায়। এবং ক্ষুধা নিবারণ করতে এগিয়ে আমাদের ওজন বেড়ে যায় এবং সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও বেড়ে যায় এই কারণেও হার্টের ক্ষতি হতে পারে।
হতাশা বেড়ে যায়: রাত জাগার কারণে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং ব্রেইন কার্যক্রমে থাকে এ থেকেই এনজাইটিং ও ডিপ্রেশনের উৎপত্তি হয়। রাত জাগার কারণে অনেক মানুষ ব্রেনের সমস্যা হয় এ থেকে আত্মহত্যার মতো মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেই।
আয়ু কমে যায়: গবেষণা করে দেখা গেছে যে যারা ৫ ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমায় তাদের হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায় স্বাস্থ্যের যোগাযোগ রয়েছে না হলে শরীরের সবথেকে দুইটি দুর্বল হয়ে যায় আর এ থেকেই স্বাভাবিকভাবেই আয়ু কমে যায়।
গর্ভাবস্থায় রাত জাগলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় রাত জাগলে সন্তান ও মায়ের দুজনেরই ক্ষতি হয় গর্ভাবস্থায় অনেক সময় ঘুম আসে না অনিদ্রা রোগে ভোগেন গর্ভবতী মায়েরা কিন্তু গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরী। গর্ভাবস্থায়ী ঘুম না হলে ঝামেলা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় শিশু নাড়াচাড়া বাড়তে থাকে এজন্য ঘুমের এক হাত ঘটে এই সময় হরমোনের কারণেও মানসিক চাপও বেড়ে যায় এবং পায়ে টান ধরে যায় শরীরের বিভিন্ন জটিলতার সমস্যা দেখা দেয়।
ঘুম না হলে কি কি করতে হবে চলুন জেনে নেই-
- দিনের বেলা ঘুম পরিহার করতে হবে।
- প্রতিদিন ঘুমানোর রুটিন মেনে চলতে হবে একই সময়ে ঘুম এবং একই সময়ে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।
- রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খাবেন যাদের গ্যাসের সমস্যা হবে তারা দুধ পরিহার করবেন।
- সব সময় মন ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।
- ঘুম না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- নিজে থেকে গর্ভাবস্থায় কোন ওষুধ খাবেন না খেলে সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় প্রস্তাবের চাপ অনেক বেড়ে যায় এজন্য রাতের বেলা পরিমাণমতো পানি খাবেন।
- গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করতে হবে যেমন হাটা দৌড়ানো সাইকেল চালানো সাঁতার কাটা আগে থেকে ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকলে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করবেন নিয়মিত ব্যায়াম করলে রাতে ঘুম ভালো হতে সাহায্য করবে তবে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা যাবে না।
- গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ কমাতে হবে মানসিক চাপ কমানোর জন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি ঘুমেরও সাহায্য করতে পারে দুই চিন্তা কমানোর জন্য আপনি একটি সহজ ব্যায়াম প্রতিদিন করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য-রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয়
প্রিয় পাঠক আমরা অনেকেই রাত জেগে কাজ করে থাকি এ রাত জাগার কারণে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি হয় অতিরিক্ত রাত জাগলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় রাত জাগলে কি হয়, রাত জাগলে কি গ্যাস হয়, রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়, রাত জাগলে শরীরের কি ক্ষতি হয় সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
আমার এই আর্টিকেল থেকে রাত জাগলে কি কি সমস্যা হয় সঠিক তথ্য জেনে থাকলে আমার এই আর্টিকেলটি আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। (ধন্যবাদ)
আশা অনলাইন শপ নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url